নতুন ভাইরাল ভিডিও দেখতে এখনি চলে আসো

পৃথিবীতে এমন কিছু সম্পর্ক আছে যার কোনো রক্তের বাধন নেই, কিন্তু তা রক্তের সম্পর্কের চেয়েও গভীর হয়ে দাঁড়ায়। তার নাম বন্ধুত্ব। কিন্তু মুদ্রার উল্টো পিঠও আছে। আলোর নিচে যেমন অন্ধকার থাকে, তেমনি বন্ধুত্বের আড়ালেও লুকিয়ে থাকে স্বার্থপরতা। রাফাত ছিল এমন এক যুবক, যে এই সত্যটি জানত না। তার কাছে বন্ধুত্ব ছিল বিশ্বাসের এক পবিত্র মন্দির। কিন্তু সে জানত না, তার সেই মন্দিরে যারা পূজারি সেজে বসে আছে, তারা আসলে কেবল প্রসাদ খেতে আসা সুবিধাবাদী। প্রথম অধ্যায়: রাফাতের সোনালী দিন রাফাত চৌধুরী। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হলেও নিজের মেধা আর পরিশ্রমে খুব অল্প বয়সে আইটি সেক্টরে নিজের একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করে ফেলেছিল। ঢাকায় তার একটি ছোট সফটওয়্যার ফার্ম ছিল। খুব বেশি বড় না হলেও, আয়-উপার্জন বেশ ভালোই হচ্ছিল। রাফাত মানুষ হিসেবে ছিল অত্যন্ত উদার। তার পকেটে টাকা থাকলে সে কখনোই একা খরচ করতে পছন্দ করত না। রাফাতের এই উদারতার সুযোগ নিতে তার জীবনে জুটে গিয়েছিল দুই বন্ধু—শিপন এবং জাবেদ। শিপন ছিল মুখে মধু আর অন্তরে বিষ মেশানো এক অদ্ভুত চরিত্র। সে কথা বলত খুব গুছিয়ে, সবসময় রাফাতের প্রশংসা করত। আর জাবেদ ছিল একটু অন্যরকম, সে সবসময় নিজের অভাব আর সমস্যার কথা বলে রাফাতের সহানুভূতি আদায় করত। রাফাত তাদের দুজনকেই নিজের ভাইয়ের মতো বিশ্বাস করত। ভার্সিটি লাইফ শেষ হওয়ার পরেও তাদের আড্ডা থামেনি। বরং রাফাতের হাতে টাকা আসার পর সেই আড্ডা আরও জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। প্রতিদিন সন্ধ্যায় ধানমন্ডির কোনো এক নামী ক্যাফেতে তাদের আড্ডা বসত। বিল আসত তিন-চার হাজার টাকা। কাউন্তারে গিয়ে মানিব্যাগ বের করার অধিকার যেন কেবল রাফাতেরই। শিপন পকেটে হাত দিয়ে কৃত্রিম ব্যস্ততা দেখিয়ে বলত, "আরে দোস্ত, আমার কাছে তো আজ খুচরা নেই, তুই দিয়ে দে, পরে দেখে নেব।" জাবেদ হয়তো তখন মেনু কার্ড দেখতে দেখতে বলত, "দোস্ত, তুই আছিস বলেই আমরা এত ভালো খাই। তুই তো আমাদের কলিজা!" রাফাত হাসত। সে ভাবত, টাকার চেয়ে সম্পর্ক বড়। সে জানত না, এই সম্পর্ক কেবল টাকার সুতোয় ঝুলে আছে। দ্বিতীয় অধ্যায়: আবদারের পাহাড় দিন যত যেতে লাগল, শিপন আর জাবেদের আবদার তত বাড়তে লাগল। শুরুতে যা ছিল কেবল রেস্টুরেন্টের বিল, তা ধীরে ধীরে বড় অংকের ঋণে পরিণত হলো। একদিন বিকেলে শিপন হন্তদন্ত হয়ে রাফাতের অফিসে এসে হাজির। "রাফাত, ভাই আমার সর্বনাশ হয়ে গেছে!" শিপন এমনভাবে বলল যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে। রাফাত উদ্বিগ্ন হয়ে বলল, "কী হয়েছে? শান্ত হ।" "আমার বাইকটা অ্যাকসিডেন্ট করেছে। ঠিক করতে পনেরো হাজার টাকা লাগবে। বাসা থেকে চাইলে মেরে ফেলবে। তুই কি আমাকে ধার দিতে পারবি? আমি সামনের মাসেই দিয়ে দেব।" রাফাত এক মুহূর্ত চিন্তা না করে ড্রয়ার থেকে ক্যাশ টাকা বের করে দিল। শিপন টাকাটা পকেটে ঢোকাতে ঢোকাতে বলল, "তোর মতো বন্ধু পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার, রাফাত।" আসল সত্য হলো, শিপনের বাইকের কিছুই হয়নি। সে এই টাকায় তার গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে কক্সবাজার ট্যুর দেওয়ার পরিকল্পনা করছিল। অন্যদিকে জাবেদের কৌশল ছিল ভিন্ন। সে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করত। "দোস্ত, ল্যাপটপটা নষ্ট হয়ে গেছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজগুলো করতে পারছি না। ক্যারিয়ারটা ধ্বংস হয়ে যাবে রে!"—এই বলে সে রাফাতের পুরনো ম্যাকবুকটা চেয়ে বসল। রাফাত ভাবল, বন্ধুর ক্যারিয়ারের প্রশ্ন। সে ল্যাপটপটা দিয়ে দিল। জাবেদ সেই ল্যাপটপ নিয়ে গেম খেলে দিন পার করত আর রাফাতকে শোনাত সে কত কাজ করছে। এভাবে মাস ছয়েক চলল। রাফাতের ব্যাংক ব্যালেন্স কমতে শুরু করল, কিন্তু বন্ধুদের প্রতি তার ভালোবাসা কমল না। তার আশেপাশের কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী তাকে সতর্ক করার চেষ্টা করেছিল। রাফাতের অফিসের এক পুরনো কলিগ, নাম তার সাজিদ, একদিন তাকে বলেছিল, "বস, আপনি এদের পেছনে এত টাকা ওড়াবেন না। এরা আপনার সুসময়ের মাছি। আপনার মধুর হাড়ি যেদিন খালি হবে, সেদিন এদের টিকিটাও খুঁজে পাবেন না।" রাফাত হেসে উড়িয়ে দিয়েছিল। বলেছিল, "সাজিদ সাহেব, আপনি বড্ড বেশি সন্দেহপ্রবণ। এরা আমার জানের দোস্ত।" তৃতীয় অধ্যায়: হঠাৎ ধেয়ে আসা ঝড় জীবন সবসময় এক সরলরেখায় চলে না। রাফাতের জীবনেও হঠাৎ এক বড় বিপর্যয় নেমে এল। রাফাতের বাবা গ্রামে থাকতেন। হঠাৎ খবর এল, বাবার হার্টে বড় ধরনের ব্লক ধরা পড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ওপেন হার্ট সার্জারি করাতে হবে। তার ওপর একই সময়ে রাফাতের অফিসের একটা বড় প্রজেক্ট ক্লায়েন্ট ক্যানসেল করে দিল। প্রজেক্টটিতে রাফাত তার জমানো সব পুঁজি বিনিয়োগ করেছিল। একদিকে ব্যবসার ধস, অন্যদিকে বাবার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। রাফাতের হাতে তখন সব মিলিয়ে পঞ্চাশ হাজার টাকাও নেই। রাফাত দিশেহারা হয়ে পড়ল। তার মাথার ওপর আকাশ ভেঙে পড়ল। বাবার অপারেশন তিন দিনের মধ্যে করতে হবে। সে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে চাইল, কিন্তু খুব একটা সাড়া পেল না। হঠাৎ তার মনে পড়ল শিপন আর জাবেদের কথা। রাফাত ভাবল, "শিপন আর জাবেদের পেছনে আমি কত টাকা খরচ করেছি। শিপনের বাবা তো বড় কন্ট্রাক্টর, আর জাবেদ বলেছিল তার ফ্রিল্যান্সিংয়ে এখন অনেক ডলার জমেছে। ওরা নিশ্চয়ই আমাকে ফেরাবে না।" এই বিশ্বাস নিয়ে রাফাত ফোন দিল শিপনকে। চতুর্থ অধ্যায়: মুখোশ উম্মোচন ফোনের রিং হচ্ছে। একবার, দুইবার, তিনবার। শিপন ফোন ধরল না। রাফাত ভাবল হয়তো ব্যস্ত আছে। কিছুক্ষণ পর আবার ফোন দিল। এবার ফোন ধরল শিপন। "দোস্ত, বল। কী খবর?" শিপনের গলার স্বর বেশ ফুরফুরে। রাফাত আমতা আমতা করে বলল, "শিপন, আমি খুব বিপদে আছি রে। বাবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে, ইমার্জেন্সি অপারেশন লাগবে। আমার হাতে এখন একদম টাকা নেই। তুই কি আমাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা ম্যানেজ করে দিতে পারবি? আমি কথা দিচ্ছি, দুমাসের মধ্যে শোধ করে দেব।" ওপাশ থেকে কিছুক্ষণ নীরবতা। তারপর শিপনের গলার স্বর বদলে গেল। সেই মিষ্টি সুর আর নেই। "আরে দোস্ত, কী যে বলিস! তুই তো জানিস আমি রিসেন্টলি একটা আইফোন কিনেছি। হাতে তো একদম টাকা নেই। তাছাড়া বাবার সাথে আমার একটু ঝামেলা চলছে। তুই বরং অন্য কোথাও দেখ।" রাফাত অবাক হয়ে বলল, "তোর কাছে না থাকলে অন্য কারো কাছ থেকে একটু ম্যানেজ করে দে না ভাই। খুব বিপদ।" শিপন বিরক্ত হয়ে বলল, "রাফাত, আমি এখন একটা মিটিংয়ে আছি। পরে কথা বলব।" লাইনটা কেটে গেল। রাফাতের বুকের ভেতরটা ধক করে উঠল। যে শিপনের জন্য সে হাজার হাজার টাকা খরচ করেছে, সে আজ একটা অজুহাত দেখিয়ে ফোন কেটে দিল? তবুও রাফাত আশা ছাড়ল না। তার ভরসা তখন জাবেদ। জাবেদকে সে তার ল্যাপটপ দিয়েছিল, অনেক সাহায্য করেছিল। জাবেদ নিশ্চয়ই তাকে ফেরাবে না। রাফাত জাবেদকে ফোন দিল। জাবেদের ফোন বন্ধ। রাফাত অস্থির হয়ে জাবেদের মেসেঞ্জারে কল দিল। জাবেদ অনলাইনে আছে। রাফাত মেসেজ দিল, "জাবেদ, খুব জরুরি দরকার। প্লিজ ফোনটা ধর।" জাবেদ মেসেজ সিন করল, কিন্তু রিপ্লাই দিল না। রাফাত বিশ্বাস করতে পারছিল না। সে সশরীরে জাবেদের বাসায় গেল। দরজায় নক করতেই জাবেদের ছোট ভাই দরজা খুলল। "ভাইয়া, জাবেদ কি আছে?" ভেতর থেকে জাবেদের গলা শোনা গেল, "বল আমি বাসায় নেই।" ছোট ভাইটি রাফাতের দিকে তাকিয়ে বিব্রত মুখে বলল, "ভাইয়া, জাবেদ ভাই তো বাসায় নেই। গ্রামে গেছে।" রাফাত নিজের কানে জাবেদের কথা শুনেছে। তার চোখ দিয়ে পানি চলে আসার উপক্রম হলো। সে কোনো কথা না বলে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে এল। রাস্তায় নেমে রাফাত আকাশের দিকে তাকাল। শহরের নিওন আলোগুলো আজ তার কাছে খুব ফ্যাকাশে মনে হচ্ছে। তার মনে হলো, সে এতদিন যাদের বন্ধু ভেবেছে, তারা আসলে বন্ধু ছিল না। তারা ছিল তার সময়ের ক্রেতা। সময় খারাপ হতেই তারা পণ্য কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। পঞ্চম অধ্যায়: প্রকৃত সত্যের মুখোমুখি রাফাত যখন হাসপাতালের বারান্দায় হতাশ হয়ে বসে ছিল, তখন তার ফোনটা বেজে উঠল। স্ক্রিনে ভেসে উঠল 'সাজিদ' নামটা। সেই অফিসের কলিগ, যাকে রাফাত কখনো বন্ধু বলে ভাবেনি। "বস, শুনলাম আঙ্কেল অসুস্থ। আমি এখন হাসপাতালে আসছি।" আধঘণ্টার মধ্যে সাজিদ এসে হাজির। তার হাতে একটা চেক বই। সাজিদ বলল, "বস, আমার সেভিংস খুব বেশি না। এখানে এক লাখ টাকা আছে। আপনি এটা রাখুন। বাকিটা আমরা অফিসের সবাই মিলে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছি।" রাফাত অবাক হয়ে সাজিদের দিকে তাকিয়ে রইল। যে ছেলেকে সে শুধু কাজের লোক মনে করত, সেই আজ বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছে। আর যাদের সে নিজের ভাইয়ের মর্যাদা দিয়েছিল, তারা আজ ফোন রিসিভ করে না। সাজিদের টাকা এবং আরও কিছু জায়গা থেকে ঋণ করে রাফাত বাবার অপারেশন করাল। অপারেশন সফল হলো। বাবা সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরলেন। কিন্তু এই কয়েক দিনে রাফাত যে শিক্ষা পেল, তা তার সারাজীবনের সম্বল হয়ে রইল। রাফাত বুঝল, বন্ধুত্বের প্রমাণ রেস্টুরেন্টের বিলে বা আড্ডার হাসিতে নয়, বন্ধুত্বের প্রমাণ বিপদের দিনে বাড়িয়ে দেওয়া হাতে। ষষ্ঠ অধ্যায়: ঘুরে দাঁড়ানো পরের দুই বছর রাফাত নিজেকে পুরোপুরি বদলে ফেলল। সে আড্ডা দেওয়া বন্ধ করে দিল। অহেতুক খরচ করা বন্ধ করে দিল। দিনরাত পরিশ্রম করে সে আবার নিজের ব্যবসাকে দাঁড় করাল। এবার সে আরও অভিজ্ঞ, আরও কঠোর। সে মানুষ চিনতে শিখেছে। তার পাশে এখন আর কোনো চাটুকার নেই, আছে সাজিদের মতো বিশ্বস্ত কিছু মানুষ। রাফাতের সুদিন আবার ফিরে এল। তার গাড়ি হলো, নতুন অফিস হলো। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার সাফল্যের ছবি দেখে আবার নড়েচড়ে বসল শিপন আর জাবেদ। সপ্তম অধ্যায়: মাছিদের প্রত্যাবর্তন একদিন সন্ধ্যায় রাফাত তার নতুন মার্সিডিজ গাড়িতে করে অফিস থেকে বের হচ্ছিল। হঠাৎ গেটের সামনে শিপন আর জাবেদকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল। তারা সম্ভবত দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করছিল। রাফাত গাড়ি থামিয়ে গ্লাস নামাল। শিপন দৌড়ে এসে বলল, "আরে দোস্ত! কতদিন পর দেখা! তোকে তো পাওয়াই যায় না। শুনেছিলাম তুই খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছিস। আমরা আসলে খুব গিল্টি ফিল করছিলাম রে, তখন তোকে হেল্প করতে পারিনি। আসলে সিচুয়েশনটাই এমন ছিল..." জাবেদ পাশ থেকে যোগ করল, "হ্যাঁ দোস্ত, আমি তো গ্রামেই আটকা পড়েছিলাম। তোর কথা খুব মনে পড়ত। এখন তো দেখছি তুই আবার ফাটিয়ে দিয়েছিস! চল না, আজ কোথাও বসি? পুরনো দিনের মতো আড্ডা দিই?" রাফাত তাদের দিকে তাকাল। দুই বছর আগে এই মুখগুলোই তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল। আজ তার সুসময়ে তারা আবার ফিরে এসেছে। রাফাতের মনে কোনো রাগ হলো না, বরং করুণা হলো। রাফাত মৃদু হেসে বলল, "শিপন, জাবেদ—তোরা ঠিকই বলেছিস। পুরনো দিনগুলো খুব সুন্দর ছিল। কিন্তু সমস্যা হলো কি জানিস? আমার সেই 'পুরনো আমি'টা মারা গেছে। আর আমার গাড়িতে এখন শুধু তাদেরই জায়গা হয়, যারা আমার ভাঙা সাইকেলের সময় পাশে ছিল।" শিপন কিছু একটা বলার চেষ্টা করল, "দোস্ত, তুই কি আমাদের পর করে দিচ্ছিস?" রাফাত বলল, "না, আমি কাউকে পর করি না। আমি শুধু আবর্জনা ঝেড়ে ফেলেছি। তোরা ভালো থাকিস।" রাফাত গ্লাস তুলে দিল। ড্রাইভারকে ইশারা করল গাড়ি চালাতে। গাড়িটা শিপন আর জাবেদকে ধুলোর মধ্যে রেখে এগিয়ে গেল। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুই বন্ধু বোকার মতো তাকিয়ে রইল। তারা বুঝতে পারল, তারা শুধু একটি বন্ধুকে হারায়নি, তারা এমন একটি আশ্রয় হারিয়েছে যা আর কোনোদিন ফিরে পাবে না। উপসংহার: জীবনমুখী শিক্ষা রাফাত গাড়ির সিটে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করল। তার মনে হলো, জীবন তাকে এক কঠিন পরীক্ষার মাধ্যমে খাঁটি সোনা চিনিয়ে দিয়েছে। শিপন আর জাবেদের মতো মানুষেরা সমাজে ভাইরাসের মতো। এরা সুসময়ে আপনার রক্ত চুষে খাবে, আর দুঃসময়ে আপনাকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে। রাফাত এখন জানে, যে বন্ধু পকেটের ওজন দেখে কাছে আসে, সে বন্ধু নয়—সে একজন সুবিধাবাদী ব্যবসায়ী। আর যে বন্ধু চোখের জল দেখে পকেট উজাড় করে দেয়, সেই প্রকৃত সম্পদ। গল্পের নীতিশিক্ষা: ১. সুসময়ে বন্ধু বটে অনেকেই হয়, অসময়ে হায় কজন বা রয়? ২. বিপদের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু। ৩. চাটুকারদের থেকে সবসময় সাবধান থাকা উচিত, কারণ তারা সুসময়ের মাছি ছাড়া আর কিছুই নয়।
📥 ডাউনলোড করুন